সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত হয়ে মাম রাস্তার ধারে ফুটপাতে বসে পড়লো। একটু স্থির হওয়ার পর আবার বাসস্ট্যান্ডের দিকে পাড়ি দিতে গেলে শেষ বাস টা ওর চোখের সামনে দিয়ে ওকে ক্রস করে পেরিয়ে গেলো । এবার বাড়ি ফিরবে কি করে!
পরিশিষ্ট, আজ প্রায় ৩ দিন পর দিশা ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায়। এখন সে সারাক্ষণ শুধু রক্তিমকে খুঁজে বেড়ায়। সারাক্ষণ শুধু রক্তিম, রক্তিম করতে থাকে। আর মাঝে মাঝে নিজে নিজেই কথা বলে শুধু হাসে আর হাসে।
এই বলে দিশা রক্তিমকে অনেক শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। জরিয়ে ধরার কিছুক্ষণ পর………
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল জীবনের প্রেমগুলোর
আমি এতোটা হতভাগ্য যে তোমার বিরক্তির কারন হয়ে গেলাম। জীবনটা তুচ্ছ মনে হচ্ছে, তাই অন্য স্কুলে গিয়ে ভর্তি হতে চেয়েছি, বন্ধুরা যেতে দেয়নি। আমি একেবারে চলে যাব। চলে গেলে তোমার কষ্ট লাঘব হবে, নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবে তুমি। কিন্তু মনে রেখ আমি তোমাকে সব সময় হাসি সুখী দেখতে চেয়েছি, তোমার চোখের পানি নয়। ভালোবাসার গল্প
আপন আমার কে? আমার আপন কে
আর সেটা দিশা কিছুদিন যাবার পর বুঝতে পারে। এদিকে রক্তিম আবার দিশাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতে করতে ওর উপর দূর্বল হয়ে পরে। এক সময় দিশাকে ভালোবেসে ফেলে। তো একদিন মনে অনেক সাহস নিয়ে যখন দিশার সাথে কিছু কথা বলতে যাবে তখনি ঘটে আরেক বিপক্তি। কে জেনো কার হ্যান্ডব্যাগ চুরি করে পালাচ্ছিলো। তাও আবার রক্তিমের সামনে দিয়ে। তাই রক্তিম সবার চিত্কার শুনে সাথে সাথে যে ব্যাগটা চুরি করেছে ওকে ধরার জন্য ওর পিছন পিছন দৌড় দেয়ে। এবং একসময় সে দৌড়ে চোরটাকে ধরেও ফেলে।
বাপ মা মরা ফিরোজা খালা গাইল,”জলে ভাসা পদ্ম আমি ….ও আমার সহেলি …..আমার নাইকো কোথাও কোনো ঠাই….”
আজ ১৪ফেব্রুয়ারি প্রতিলিপি প্রেমের গল্প ছেলেটির কবরের পাশে দাড়িঁয়ে মেয়েটি বলছে, তোমাকে ভালোবাসার ফুল দিচ্ছি, গ্রহণ কর। মনে রেখ তুমি, তোমারি ছিলাম আছি থাকবো। তুমি কি জীবনে একবার আমার সাথে কথা বলবে, দেখা করবে শুধু একবার!
কষ্টের ভালবাসার গল্প – ধোঁকা ও করুণ পরিণতি
স্কুল জীবন মানেই এক নির্ভাবনার জীবন। যে জীবনে নেই কোনো ঝামেলা, নেই কোন চিন্তা।
তুমি তো কোনো অন্যায় করোনি। তাহলে কি জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া বলো।
“হ্যাঁ আর তারপর তোমার মা আমায় যেদিন ধরে ফেললো সেদিন ঘাড় ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিল । এতটুকুও কৃতজ্ঞতা বোধ জন্মায়নি সেদিন ওনার। তোমার বাবাও সবার সামনে যা না তাই বলে অপমান করেছিল । এমনকি তোমার ছোট বোন ও আমার চরিত্র নিয়ে আঙ্গুল তুলেছিল সেদিন । এগুলো কি আমার প্রাপ্য ছিল গৌরব?”
বাচ্চাদের মত কথা কাটাকাটি করতে করতে ওরা প্রায় মাম এর বাড়ির কাছের গলিটায় পৌঁছে গেলো । অবসন্ন গলায় গৌরব গাড়িটা থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলো “মাম তুমি ভালো আছো তো?”